সোশ্যাল মিডিয়ার শিরোনামে অ্যান্টি-এজিং ট্রিটমেন্ট (Anti-Ageing Treatment)। সম্প্রতি মারা হয়েছেন বলিউড অভিনেত্রী শেফালি জরিওয়ালা (Shefali Jariwala)। বার্ধক্যরোধী চিকিৎসার কারণেই তাঁর এই পরিণতি হয়েছে বলে মনে করছেন অনেকেই। যদিও এখনই নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না। এই ঘটনার পরপরই গ্লুটাথিয়ন (Glutathione) নামে একধরনের বিশেষ বার্ধক্যরোধী ওষুধের নাম চর্চার কেন্দ্রে রয়েছে।
প্রাকৃতিক নিয়মে মানুষের বয়স বাড়ে। শরীরে আসে বার্ধক্যের ছাপ। কমে আসে ত্বকের জেল্লা। রূপ-যৌবনকে চিরকাল কম বয়সের বেড়াজালে আটকে রাখা যায় না। কিন্তু অনেকেই এই স্বাভাবিক নিয়মের উল্টো পথে হেঁটে বয়সকে ঠেকিয়ে রাখতে গিয়ে নিজের অজান্তেই ডেকে আনছেন বিপদ। ব্যবহার করছেন গ্লুটাথিয়নের মত ওষুধ।
ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া যে কোনও ওষুধ বা ইনজেকশন নেওয়া শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক হয়ে উঠতে পারে। কিন্তু বয়সের ছাপ যাতে নিজের শরীরে না পড়ে, তার জন্য কোন পেশাদার পরামর্শ ছাড়াই দেদার ব্যবহার হচ্ছে গ্লুটাথিয়ন ট্যাবলেট এবং ইনজেকশন। বিশেষ একটা বয়সের মানুষের মধ্যে এই ওষুধ গ্রহণের প্রবণতা খুব বেশি। তার কারণ একটাই – শারীরিক সৌন্দর্যকে ধরে রাখা।
আরও পড়ুন – LSST Cam: এটাই পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ডিজিটাল ক্যামেরা, প্রথম ছবি কেমন উঠল এক ঝলক দেখে নিন

কিভাবে কাজ করে এই গ্লুটাথিয়ন? গ্লুটাথিয়ন হল একধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা শরীর থেকে ক্ষতিকারক এবং দূষিত পদার্থ যেমন ফ্রি-র্যাডিকেলগুলোকে দুর করে। এই ফ্রি-র্যাডিকেগুলিকে বার্ধক্যের কারণ হিসাবে দায়ী করা হয়। গ্লুটাথিয়ন শরীরকে ডিটক্সিফাই করে শরীরকে বার্ধক্যের ছাপ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।
আরও পড়ুন –জুলাই মাসের পূর্ণিমায় দেখা যাবে হরিণ চাঁদ, এই মহাজাগতিক দৃশ্য দেখতে কিন্তু ভুলবেন না
গ্লুটাথিয়ন গ্রহণ করার তারতম্য আছে। এবং তার জন্য খরচও বিভিন্নরকম। ট্যাবলেট বা ক্যাপসুল হিসাবে এটি যেমন গ্রহণ করা যায় তেমনি ইঞ্জেকশন এবং থেরাপি হিসেবেও এর ব্যবহার আছে। ভারতে যেকোনো ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে এবং মেডিকেল স্টোরে গ্লুটাথিয়ন পাওয়া যায়। প্রোডাক্ট হিসাবে এর খরচের বহর মোটামুটি একেবারে কম ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
তবে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এই ধরনের কোনো বার্ধক্যরোধী ওষুধ (Anti-Ageing Medicine) ব্যবহার করা মোটেও উচিৎ নয়। গ্লুটাথিয়নের মত মেডিসিন শরীরে নানান পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ওষুধ দীর্ঘমেয়াদি গ্রহণ করলে জিঙ্কের মাত্রা হ্রাস পেতে পারে এবং লিভারের উপর খারাপ প্রভাবও পড়তে পারে।