কতটা ভয়াবহ পরিস্থিতি একবার ভেবে দেখুন। প্রায় ৮ কিলোমিটার ন্যাশনাল হাইওয়ে জুড়ে টানা ৪০ ঘণ্টার বেশি ট্র্যাফিক জ্যাম ( 40 hour traffic jam)। আর এই দীর্ঘ যানজটে আটকে প্রায় ৪ হাজারেরও বেশি গাড়ি। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যে থেকে শুক্রবার অবধি রাস্তার মাঝেই আটকে থাকল অসংখ্য মানুষ। অসহ্য গরম আর ভয়াবহ এই পরিস্থিতি সহ্য করতে না পেরে অসুস্থ হলেন অনেকেই, আর প্রাণ হারালেন তিনজন।
ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর-দেওয়াস হাইওয়েতে। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যে থেকে শুরু হয় যানজট। গাড়ির চাপ সহ্য করতে না পেরে ভেঙে পড়ে গোটা শহরের ট্র্যাফিক ব্যবস্থা। বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির মধ্যে আটকে পড়ে একের পর এক গাড়ি। অনেক চেষ্টা করেও বাগে আনা যায়নি ট্র্যাফিক মুভমেন্ট।
যানজটের মধ্যে বৃহস্পতিবার রাতেই অসুস্থ হয়ে পড়েন সন্দ্বীপ প্যাটেল নামের এক ব্যক্তি। সেখান থেকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু ঘটে। পরের দিন শুক্রবার বলরাম প্যাটেল এবং কমল পাঞ্চাল নামে আরও দুজন ব্যক্তির অসুস্থ হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
কিন্তু জাতীয় সড়কে দীর্ঘ এই যানজটের কারণ কি ছিল? জানা গেছে রাস্তা মেরামতির জন্যই সৃষ্টি হয়েছিল এই তীব্র যানজট। তাছাড়া ভারী বৃষ্টিপাতের জন্য রাস্তার বেশ কিছু অংশ জলমগ্ন ছিল। তাছাড়া, পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের মধ্য দিয়ে ট্র্যাফিক ডাইভার্ট করার জন্য কোন বিকল্প রাস্তাও ছিল না। ফলে ধীরে ধীরে পরিস্থিতি জটিল হতে শুরু করে।
এদিকে এই ঘটনার জের গড়ায় আদালত অবধি। মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টে দায়ের হয় জনস্বার্থ মামলা। সেখানে ন্যাশনাল হাইওয়েজ অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার (NHAI) এক আইনজীবী মন্তব্য করে বসেন ‘কাজ ছাড়া এত মানুষজন সকাল সকাল রাস্তায় বেরোয় কেন?’ আদালতে এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে সমালোচনার ঝড় ওঠে। এই পরিস্থিতিতে দুর্বিষহ এই যানজটের রেশ শেষ পর্যন্ত কোথায় গিয়ে ঠেকে সেটাই এখন দেখার। – সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা হয়েছে।