নৌকো টেনে সাগর পেরোনো মুখের কথা নয়। তাও আবার আটলান্টিক মহাসাগর। উত্তাল সাগরে প্রতি পদে পদে থাকে বিপদের হাতছানি। পৃথিবীর সেই দ্বিতীয় বৃহত্তম মহাসাগর এবার একা হাতে দাঁড় টেনে পার হয়ে তাক লাগিয়ে দিলেন ২১ বছর বয়সী ব্রিটিশ এক তরুণী।
অসম্ভব দুঃসাহসী এই তরুণীর নাম জারা ল্যাচলান (Zara Lachlan)। পর্তুগালের লাগোস থেকে শুরু করে আটলান্টিক পেরিয়ে দক্ষিণ আমেরিকা উপকূলের ফ্রেঞ্চ গায়ানা পৌঁছালেন তিনি। সীমাহীন মনোবল আর সাহসের উপর ভর করে এই অল্প বয়সে অসম্ভবকে সম্ভব করলেন তিনি।
মাত্র ২১ বছর বয়সে মহাসমুদ্রের বুকে দাঁড় টেনে তিনি পাড়ি দিলেন প্রায় ৭ হাজার ২৬ কিলোমিটার ( ৩৭৯৪ নটিক্যাল মাইল)। কঠিন এই সফরে তিনি ছিলেন সম্পূর্ণ একা। তাই এই তিন মাস বলতে গেলে না ঘুমিয়েই কেটেছে তার। এমন শোনা গেছে যে ঝুঁকিপূর্ণ এই যাত্রায় জারা একটানা ৯০ মিনিটের বেশি কখনও ঘুমাননি। তারুণ্যের শক্তি, মনোবল আর লক্ষ্যকে ছুঁয়ে দেখার নেশায় এক একটা দিন কাটিয়েছেন তিনি।

সমুদ্র সফরে জারার কাছে সম্বল বলতে ছিল মাত্র ২৪ ফুটের নৌকা, দাঁড় আর অদম্য ইচ্ছা। আটলান্টিক মহাসাগর পেরিয়ে ইউরোপ থেকে দক্ষিন আমেরিকা পৌঁছুতে তার সময় লেগেছে মোট ৯৭ দিন ১০ ঘন্টা ২০ মিনিট।
৭ হাজার কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে কি কি রেকর্ড গড়লেন জারা ল্যচলান? তিনি হলেন প্রথম মহিলা যিনি ইউরোপের মূল ভূখণ্ড থেকে লাতিন আমেরিকার মূল ভূখণ্ড অবধি আটলান্টিক মহাসাগর নৌকো টেনে পার হলেন। সবচেয়ে কম বয়সে এবং সম্পূর্ণ একা আটলান্টিক পার হওয়ার রেকর্ড গড়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে প্রথম মহিলা হিসাবে দাঁড় টেনে কোনো মহাসাগর পার হওয়ার বিরল কৃতিত্ব অর্জন করলেন তিনি।