Best Hill Stations in India: সামনেই শ্রাবণ মাস। ঘোর বর্ষার দিন। এরকম মরশুমে বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা থাকলে মাথা তো একটু ঘামাতেই হয়। কোথায় যাবো, কি দেখবো, সবুজে মোড়া পাহাড়ি উপত্যকা না উত্তাল সমুদ্র? বর্ষায় পাহাড়ের রূপ একেবারেই অন্যরকম। তাই পাহাড় যেন একটু বেশিই টানে। তবে বর্ষাকালে পাহাড় ভ্রমণে বেশ কিছু ঝুঁকি আছে। মাটি আলগা হয়ে গিয়ে ধস নামার সম্ভাবনা থাকে। এছাড়া আছে হড়পা বান আর বন্যার আশঙ্কা। তবে বর্ষায় পাহাড় ঘোরা যায়। তার জন্য বেছে নিতে হবে সঠিক ডেসটিনেশন। বর্ষায় নিরাপদে পাহাড় ঘোরার জন্য রইল সেরা পাঁচটি ঠিকানা।
সবুজে মোড়া মুন্নার (Munnar)
নল্লাথান্নি, মুথিরাপুর ও কুন্ডালা- এই তিনটি পার্বত্য নদীর সঙ্গমস্থলে অবস্থিত শৈলশহর মুন্নার । দিগন্ত বিস্তৃত সবুজ চা বাগান, ঝিরিঝিরি বর্ষায় মুন্নার অপরূপ সাজে সেজে ওঠে। মুন্নারের মূল আকর্ষন হল নীলাকুরিঞ্জি গাছ। প্রতি বারো বছরে একবার এই গাছের নীল ফুলে পুরো মুন্নার শহর আচ্ছাদিত হয়ে যায়। মুন্নারেই অবস্থিত দক্ষিন ভারতের সর্বোচ্চ শৃঙ্খ আনাইমুদি অন্যতম আকর্ষন। কলকাতা থেকে কোচির ফ্লাইট ধরে নিলেই হল। তারপর ক্যাব বুক করে সোজা মুন্নার।
ভারতের স্কটল্যান্ড কুর্গ (Coorg)
কর্ণাটকের দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্তে সবুজে মোড়া ছোট্ট একটি শহর কুর্গ। উন্নত মানের কফির জন্য জনপ্রিয় এই শহর। এছাড়া আছে রাবার ও কোকোর বাগিচা। কুর্গ অথবা কোড়াগু-র বিশেষ আকর্ষণ হল- চা বাগান, এ বি এন ফলস, তিব্বতী মনাস্ট্রি, ইউনিভার্সিটি, গোল্ডেন বুদ্ধ টেম্পল, ব্রহ্মগিরি পাহাড়ে কাবেরী নদীর উৎসস্থল- তালকাবেরী। বৃষ্টিভেজা কুর্গ দেখতে কেমন তা নিজের চোখে উপলব্ধি না করলে বোঝা যায় না।
বৃষ্টিস্নাত লোনাভালা (Lonavala)
মহারাষ্ট্রে পৌঁছে তারপর লোনাভালা। প্রাচীন দুর্গ, গুহা আর শান্ত হ্রদের শহর লোনাভালা। পাহাড় আর বিস্তৃত উপত্যকা বৃষ্টিধারায় নতুন করে সেজে ওঠে। লোনাভালার টাইগার পয়েন্ট যা টাইগার লিপ চূড়া থেকে জলপ্রপাত আর হ্রদ দেখার অভিজ্ঞতা স্মরণীয় হয়ে থাকবে। আছে কার্লা ও ভাজা গুহা দেখার সুযোগ। এছাড়া ভূশি ডাম্প, ডিউকের নাক, পাওনা হ্রদ, রাজমাছি ফোর্ট, নারায়ণী ধাম মন্দির, কুনে জলপ্রপাত অন্যান্য উল্লেখযোগ্য পর্যটন কেন্দ্র।
আরও পড়ুন –প্লাস্টিক থেকে প্যারাসিটামল! যুগান্তকারী আবিষ্কারে প্লাস্টিক মুক্ত পৃথিবীর স্বপ্ন দেখালেন বিজ্ঞানীরা
প্রকৃতির বিস্ময়, দারিংবাড়ি (Daringbadi)
ওড়িশার কন্ধমাল জেলার জনপ্রিয় একটি শৈলশহর হল দারিংবাড়ি। সমুদ্রতল থেকে ৯১৫ মিটার উঁচুতে অবস্থিত দারিংবাড়ি তার মনোরম পরিবেশের জন্য ‘উড়িষ্যার কাশ্মীর’ আখ্যা পেয়েছে। কোথাও বিশাল পাইনের জঙ্গল, কোথাও বা কফির বাগিচা, আবার কোথাও বিশাল জায়গা জুড়ে চোখ জুড়ানো সবুজ উপত্যকা কাশ্মীরকে মনে করাবে। শীতকালে তাপমাত্রা অনেকসময় শূন্য ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের নীচে নেমে যায়। এখানকার দর্শনীয় স্থানগুলি হল- হিল ভিউ পার্ক, কফি বাগিচা, মোরুবান্দা জলপ্রপাত, দুলুরি নদী, পুতুদি জলপ্রপাত, বেলঘর অভয়ারণ্য প্রভৃতি।
মোহময়ী কোড়াইকানাল (Kodaikanal)
বর্ষা মানে দক্ষিণ ভারত আর পশ্চিমঘাট পর্বতমালা। মৌসুমি বায়ুর বৃষ্টিধারায় সবুজে সাজানো তামিলনাড়ুর শৈলশহর। কোড়াইকানাল হ্রদকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা এই শহর বর্ষায় মন কাড়বেই কাড়বে। তামিল ভাষায় কোড়াইকানাল শব্দের অর্থ হল ‘বনের উপহার’। জনপ্রিয় এই শৈলশহর স্থাপিত হয় ১৮৪৫ সালে।