এটিই পৃথিবীর সবচেয়ে দামি আম। বিশ্ব বাজারে এটি ‘লাল আম’ নামেও পরিচিত।
আম খেতে কে না ভালোবাসে! বাজার থেকে প্যাকেট ভর্তি গাছপাকা হিমসাগর কিম্বা গোলাপখাস আম কিনে আনার ফিলিংসই আলাদা। আম আমাদের নষ্ট্যালজিয়া। আমের সঙ্গে আমাদের নাড়ির টান।
তবে যে আমের কথা বলতে গিয়ে এত ভঙ্গিমা, সেই আম কিন্তু সচরাচর আমাদের চোখে পড়ে না। কিন্তু দেখলেই যেন মন ভরে যায়। একেবারে নিটোল গড়ন। টকটকে লাল বা বেগুনি রঙের, দেখলেই মনে হয় বাহ্ বেশ তো!
শুধু রূপ নয়, স্বাদেও অতুলনীয় এই আম। মুখে দিলেই মাখনের মত মিলিয়ে যায়। গুণেও সেরা। আছে শর্করা আর অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর। সঙ্গে এই আমে রয়েছে প্রচুর ডায়েটারি ফাইবার। এই আমের নাম হল মিয়াজাকি আম।
জাপানে এই আমের নাম হল ‘তাইয়ো নো তামাগো’। বাংলা ভাষায় যার অর্থ হল ‘সূর্যের ডিম’। পাকা অবস্থায় উজ্জ্বল রঙের জন্য বিশ্বব্যপী এই আম লাল আম নামেই অধিক পরিচিত। জাপানের মিয়াজাকিতে উৎপন্ন হয় বলে একে মিয়াজাকি আম নামে ডাকা হয়।
আকারে ও ওজনে এই আম অন্যান্য পরিচিত আমের থেকে অনেক বড়। এক একটা আমের ওজন ৩৫০ গ্রামেরও বেশি হয়। আগেই বলেছি, মিয়াজাকি স্বাদের দিক থেকেও সেরা। অত্যন্ত মিষ্টি এই আমের মধ্যে শর্করার পরিমান থাকে প্রায় ১৫% বা তার বেশি।

এপ্রিল থেকে আগস্ট মাস পর্যন্ত সাধারণত এই আম পাওয়া যায়। এই আম চাষের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ দরকার হয়। পর্যাপ্ত সূর্যালোক, উষ্ণ আবহাওয়া এবং পর্যাপ্ত পরিমানে বৃষ্টিপাত না পেলে আম চাষ করা যায় না।
তবে এই আমের দাম শুনলে সত্যিই চোখ কপালে উঠবে। আমের গুনমানের উপর ভিত্তি করে ১ কেজি মিয়াজাকির দাম প্রায় ২.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত পৌঁছতে পারে। এক কেজিতে যদি তিনটি আম হয় তাহলে, এক একটি আমের দাম পড়ে প্রায় আশি হাজার টাকা। বিশেষ কৌশলে চাষ করা হয় বলে, এর দাম এত বেশি।
মিয়াজাকি একটি বিরল প্রজাতির আম। তাই অন্যান্য আমের মত অত বেশি পরিমাণে পাওয়া যায়না। তবে জাপানে এর উৎপত্তি হলেও বর্তমানে ভারতের অনেক চাষিরাও এই আম চাষে সফল হয়েছেন। জাপানের এই আমের গুণমানের খ্যাতি সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ার ফলে সব জায়গাতেই এই আম চাষের চেষ্টা বেড়ে চলেছে। কিন্তু অতীব সুস্বাদু এই আমের দাম এতটাই বেশি যে, সাধারণ মানুষের কাছে তা ধরা-ছোঁয়ার বাইরে।

Author, CBulletin.com