চাঁদের কত নাম! ফুলচাঁদ, তুষার চাঁদ, নেকড়ে চাঁদ, গোলাপি চাঁদ, স্ট্রবেরি চাঁদ- আরো কত কি। মাস ভেদে বদলে যায় চাঁদের নাম। ঠিক তেমনি, জুলাই মাসের পূর্ণিমার চাঁদের নাম হলো হরিণ চাঁদ বা বাক মুন (Buck Moon)।
প্রতিবছর জুলাই মাসেই দেখা যায় এই চাঁদ। বাক মুন এর বাংলা অর্থ করলে দাঁড়ায় হরিণচাঁদ। কিন্তু কেন এই নাম? তার মানে কি জুলাই মাসের পূর্ণিমায় চাঁদ হরিণের মত দেখায় বা চাঁদের মধ্যে কি হরিণের প্রতিকৃতি ফুটে ওঠে? একদমই নয়। এই নামের পিছনে লুকিয়ে আছে এক লোকবিশ্বাস।
আসলে পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে, ঋতুচক্র ও লোকজ সংস্কৃতিতে পূর্ণিমার চাঁদকে আলাদা আলাদা নামে ডাকা হয়। বাক মুন বা হরিণ চাঁদ কেবলমাত্র একটি মহাজাগতিক ঘটনা নয়, এটি প্রকৃতির ছন্দ, প্রাণীর জীবনচক্র এবং মানব সাংস্কৃতির মিলিত একটি প্রতিফলন। প্রকৃতির পরিবর্তনকে পূর্ণিমার আলোর মাধ্যমে চিহ্নিতকরণ।
আরও পড়ুন –বিদেশি খাবার তৈরি করে বিশ্বসেরার তালিকায় ভারতের ২ রেস্তোরাঁ
মনে করা হয় এই সময় পুরুষ হরিণের মাথায় পুরনো শিং পড়ে গিয়ে নতুন শিং গজায়। এই শিংগুলি তুলনামূলকভাবে নরম ও রক্তনালিভরা থাকে। ধীরে ধীরে এগুলি শক্ত হয়ে ওঠে এবং প্রজনন ঋতুতে এগুলো ব্যবহার করে তারা প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে লড়াই করে। এই দৃষ্টিকোণ থেকেই জুলাইয়ের পূর্ণিমাকে বলা হয় বাক মুন- অর্থাৎ শিং গজানো হরিণের চাঁদ।
এবার হরিণ চাঁদ দেখা যাবে জুলাই মাসের ১০ তারিখ। তবে জুলাইয়ের এই চাঁদ দেখতে মোটেই অন্যরকম নয়। সাধারণ পূর্ণিমার চাঁদের মতই উজ্জ্বল গোল চাঁদ। তবে চাঁদ যখন পৃথিবীর খুব কাছে চলে আসে তখন তাকে আরও বড় আর উজ্জ্বল দেখায়। সেই সময় এই চাঁদকে সুপার মুন-ও বলে।