-দাদা কি খবর? কেমন আছ? বৌদি কেমন আছে?
– এই আছি ভাই। শশুরমশাই সরাপচা একটা কি ধরিয়ে দিল, তাই নিয়ে লড়ে যাচ্ছি।
– সেকি! তা এদ্দিন পর একথা?
– আরে সারাদিন খিঁচখিচ করে লাগতেই থাকে।
– সোনা সোনা বলতে যে!
– আরে এ খাদ ভরা সোনা।
– হা হা!
– হাসার কি হলো! ভাবছি নতুন একটা নিয়ে আসবো।
– বুড়ো বয়েসে ভীমরতি?
– ভীমরতির কি হলো ভাই? এ তো নিজের শখ। ভাবছি তোর বৌদির জন্যেও একটা নিয়ে আসি।
– বৌদির ও শখ?

– সে তো সব মহিলারাই জিনগত বৈশিষ্ট্য।
– তুমি যা খুশি বললেই হবে? আর তাও এই বয়সে!
– আরে কি এমন বয়স শুনি! সবে ষাট গিয়ে সত্তরে পা দিলাম।
– তুমি মাইরি এইরকম.. একদম ধারণা ছিল না। অন্তত আমাদের সমাজে এমন ঘটনা শুনি নি। নিজের জন্যেও খুঁজছে, বৌকেও খুঁজে দিচ্ছে।
– আরে খোঁজাখুঁজি কোত্থেকে এলো। রেডিমেড অনেক কালেকশন। সাইজ ম্যাচ করে আনলেই হলো!
– ওরে বাবা! তুমি তার মানে সেই স্টেশন পাড়া থেকে তুলে আনবে, তাও আবার সাইজ ম্যাচ করে। লোকে জানতে পারলে তোমায় পাড়া থেকে বের করে দেবে।
– কি যা তা বকছিস। বাড়ির সামনে এত বড় দোকান থাকতে ওই ভুলভাল এলাকায় কি করতে যাবো?
– বাড়ির সামনে দোকান!!
– হ্যাঁ, মাসি চন্দ্র জুয়েলার্স। এত ভালো কালেকশন
– তুমি কোনো জুয়েলারির কথা বলছিলে?
– বিয়ের আংটিটা, আধা ভেঙে গেছে। এদিক ওদিক খোঁচা লাগে। নতুন আংটি কিনবো ভাবছিলাম। তুই আবার কি ভাবছিলি!!!
– আমি তো ভাবলাম ….
– কি!
– ভাবলাম নতুন পার্টনার খুজছো।
– হতভাগা বাঁদর। নিজের দাদাকে তুমি এই চোখে দেখ? এতটুকু সম্মান দিতে জানো না? (বিপ. বিপ.) রাখ ফোন।
লেখক পরিচিতি – সুমন কুন্ডু পেশায় একজন ইঞ্জিনিয়ার। সাহিত্যের প্রতি অগাধ ভালোবাসায় কলম ধরা। থাকেন রাজধানী দিল্লিতে।কর্মজীবনের পাশে লেখালেখি করতে ভালোবাসেন। জনপ্রিয় নাট্যগোষ্ঠী ‘যাপনচিত্র’ – এর সঙ্গেও কাজ করেন। অভিনয় করেন মঞ্চে দাঁড়িয়ে। কবিতার প্রতিও তার টান নেহাত কম নয়।