WB Monsoon Update: আশার বাণী শোনাতে পারল না আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। জৈষ্ঠ্যের প্রখর রোদ আর অস্বস্তিকর গলদঘর্ম থেকে দক্ষিণবঙ্গে এখনই রেহাই মিলছে না। বঙ্গোপসাগরে গত সপ্তাহের নিম্নচাপ আর তার সঙ্গে উত্তরবঙ্গে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ুর তড়িঘড়ি প্রবেশ গাঙ্গেয় বঙ্গে আশা জুগিয়েছিল। তবে শেষমেষ যা হওয়ার তাই হল। দক্ষিণবঙ্গবাসীর কপালে আগাম বর্ষা জুটল না।
তীব্র গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। স্থানীয়ভাবে কোথাও কোথাও বজ্রবিদ্যুত সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা থাকলেও, আগামী তিন চার দিন মোটের ওপর শুকনোই থাকবে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া।
খবর অনুযায়ী গাঙ্গেয় বঙ্গে এখনো অবধি বর্ষা ঢোকার মতো অনুকূল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি। গত ৩০ মে থেকেই উত্তরবঙ্গে ঠায় দাঁড়িয়ে রয়েছে মৌসুমী বায়ু অক্ষরেখা। পশ্চিম এবং উত্তর-পশ্চিমের গরম হাওয়ার প্রভাবে বাড়তে পারে তাপমাত্রা। ফলে দক্ষিণবঙ্গে আপাতত জারি থাকবে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তিকর গরম।

গতকাল সোমবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৯.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ১.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। সোমবার বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ছিল সর্বাধিক ৯১ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন ৫০ শতাংশ।
হাওয়া অফিসের রিপোর্ট অনুসারে, আগামী কয়েকদিনে দক্ষিণবঙ্গে তিন থেকে চার ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা বাড়তে পারে। কলকাতা সহ হাওড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণা, দুই মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামে আবহাওয়ার চরমভাবাপন্ন বাড়বে। যদিওবা উত্তরপ্রদেশের পূর্বাংশ থেকে অসম পর্যন্ত একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখাও সক্রিয় আছে, তবে তার প্রভাব দক্ষিণবঙ্গে তেমন পড়ার সম্ভাবনা নেই।
তবে আগামী বৃহস্পতিবার কিছুটা হলেও বদলাতে পারে পরিস্থিতি। বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে কলকাতা সহ কয়েকটি বেশ কয়েকটি জেলায়। এর সঙ্গে ৩০ থেকে ৫০ কিলোমিটার গতিবেগে বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া।
আজ মঙ্গলবার উত্তরবঙ্গের পাঁচ জেলা- দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, কালিম্পং ও আলিপুরদুয়ারে বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এর সঙ্গে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে দমকা হওয়া বইতে পারে। উত্তরবঙ্গের অন্যান্য জেলায়ও বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে।
