শুক্রবার রাতে ফের উত্তপ্ত হল ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত। সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় একের পর এক ড্রোন পাঠিয়ে হামলার চেষ্টা চালায় পাকিস্তান। জম্মু, পুঞ্চ ও রজৌরি সীমান্তে রাতভর গুলিবর্ষণ করে পাকিস্তান। ফিরোজপুরে আহত হয় একটি পরিবার। রাত বাড়তেই পাল্টা জবাব দেয় ভারতীয় সেনা। এস-৪০০ মিসাইল সিস্টেম দিয়ে পাকিস্তানের অধিকাংশ হামলা প্রতিহত করা হয়। এরপর রাত পোয়াতেই জবাবি হামলায় নামে ভারত।
খবর অনুযায়ী, পাকিস্তানের তিনটি বিমানঘাঁটি লক্ষ্য করে ভারতের ওপর হামলার জবাব দেওয়া হয়। রাওয়ালপিন্ডির নূর খান এয়ারবেস, পাঞ্জাব প্রদেশের রফিকি বিমানঘাঁটি এবং পাঞ্জাবের মুরিদ বিমানঘাঁটিতে বড়সড় বিস্ফোরণের আওয়াজ শোনা গেছে। বিস্ফোরণের শব্দ কেঁপে উঠেছে লাহোর, ইসলামাবাদ, ঝাং এবং শোরকোটের মতো শহর।
জানা গেছে, শুক্রবার রাতের পাকিস্তানের ড্রোন হামলায় ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে পাঞ্জাবের ফিরোজপুরে একটি পরিবারের তিনজন সদস্য আহত হন। তাঁদের মধ্যে একজনের শারীরিক অবস্থা সংকটজনক। এর কারণে পাঠানকোট ও ফিরোজপুর সহ সীমান্তবর্তী ছ’টি জেলায় ব্ল্যাক আউট জারি করা হয়। আহতদের দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এছাড়া, পাকিস্তানের তরফে এখনও স্পষ্ট করে কিছু না জানানো হলেও, দেশের বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম থেকে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী নূর খান সহ একাধিক বিমানঘাঁটিতে ব্যালিস্টিক মিসাইল ছুঁড়েছে ভারত।
ভারতের এই পাল্টা পদক্ষেপের পরই পিছু হটেছে পাকিস্তান। পাকিস্তানের নোটাম (NOTAM) অনুযায়ী ইতিমধ্যেই সাময়িক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সে-দেশের আকাশপথ।
পাশাপাশি, দিল্লি বিমানবন্দর থেকে স্বাভাবিকভাবেই উড়ছে সব আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ বিমান। ভারতের তরফে এখনো কোনও সরকারি বিবৃতি না এলেও প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকরা বলছেন, এই জবাব ভারতীয় সেনার পরিকল্পিত এবং নির্ভুল প্রতিরক্ষা কৌশলেরই প্রমাণ।
এদিকে সীমান্তজুড়ে নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছে। যেকোনও পরিস্থিতির মোকাবিলায় সেনা ও বিমানবাহিনীকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পরিস্থিতির ওপর কড়া নজর রাখছে নয়াদিল্লি।