গ্রীষ্মকাল এলেই সকলের হাঁসফাঁস অবস্থা হয়। গরম থেকে বাঁচতে উপায় এসি না হলে ফ্যান। এদিকে এসি কেনার সামর্থ্য আবার সবার থাকে না। উপরন্তু গরমের সময় বিদ্যুতের বিল মেটাতেও নাজেহাল হতে হয় সবাইকে। তবে এরকম পরিস্থিতিতে বিএলডিসি ফ্যান হয়ে উঠতে পারে একটি কার্যকর ও আধুনিক সমাধান।
বিএলডিসি-র পুরো নাম হল ব্রাশলেস ডাইরেক্ট কারেন্ট (Brussless Direct Current)। সাধারণ সিলিং ফ্যানের তুলনায় বিএলডিসি ফ্যান অনেকটাই উন্নত প্রযুক্তিতে চলে, ফলে বিদ্যুৎ খরচ সাধারণ ফ্যানের চেয়ে অনেক কম।
অনেকের মতে বিএলডিসি ফ্যানই হল ভবিষ্যতের ফ্যান। ফলে, এই ফ্যানের বিভিন্ন গুণাগুণের জন্য বাজারে এর জনপ্রিয়তা ক্রমশ বাড়ছে।
বিএলডিসি ফ্যান চলে ডিসি (DC) কারেন্টে। আবার আমাদের বাড়ির বৈদ্যুতিক সংযোগ সাধারণত এসি (AC) ধরণের হয়ে থাকে। এই ফ্যানের ভিতরে যে ইলেকট্রিক সার্কিট থাকে তা এসি কারেন্টকে সরাসরি ডিসি কারেন্টে রূপান্তরিত করে।
ডিসি কারেন্টে চলার জন্য এই ফ্যানের একদিকে যেমন বিদ্যুৎ খরচ খুব কম হয় সেইসঙ্গে তাপও উৎপন্ন হয় কম এবং ফ্যানের কার্যক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী হয়।

একটি সাধারণ ফ্যান যেখানে 70-80 ওয়াট বিদ্যুৎ ব্যবহার করে, সেখানে একটি বিএলডিসি ফ্যান মাত্র 28-35 ওয়াট বিদ্যুৎ খরচ করে। এর মানে হলো এই ফ্যান ব্যবহার করলে বছরে অন্ততপক্ষে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিল বাঁচানো সম্ভব।
আর একটি মজার বিষয় হল এই ফ্যানগুলিতে ব্রাশহীন মোটর থাকার ফলে চলার সময় শব্দ একেবারে হয় না বললেই চলে। তাই কোনো ব্যাঘাত ছাড়াই এই ফ্যানের নিচে ঘুম হয় একেবারে আরামদায়ক।
আবার লোডশেডিং-এর সময় সাধারণ ফ্যানের তুলনায় এই ফ্যান অনেকক্ষণ ইনভার্টারে চলে। ফলে গরমের সময় আরামও পাওয়া যায় বেশি।
অ্যালেক্সা, ওয়াইফাই ও গুগল ভয়েস সাপোর্টও পাওয়া যায় এই ফ্যানে। বেশিরভাগই বিএলডিসি ফ্যানে রিমোট কন্ট্রোল সুবিধা থাকে। দূর থেকেই ফ্যান চালু, কিংবা বন্ধ করা যায়।
অত্যাধুনিক সুবিধা সমৃদ্ধ এই ফ্যানের দাম সাধারণ ফ্যানের তুলনায় বেশি হলেও দীর্ঘমেয়াদি সাশ্রয়কারী হিসাবে এর জনপ্রিয়তা ক্রমশ বাড়ছে। তবে চাহিদা বাড়ার সঙ্গে বিএলডিসি ফ্যানের দাম কমারও যে সম্ভাবনা থাকছে, তা মাথায় রাখতে হবে।