অসুর বৃষ্টিকে বধ করতে সঙ্গে কি কি রাখা জরুরি
শরতের আকাশ মানেই কাশফুল ও পুজোর গন্ধ। আর বাঙ্গালীর উৎসব মানেই দুর্গাপুজো। সারা বছর এই ক’টি দিনের জন্য অধীর অপেক্ষায় থাকে মানুষ। আশ্বিন মাসে ঢাকের আওয়াজ কানে আসতেই বাঙালির মন ভরে ওঠে আনন্দে। কিন্তু বলা বাহুল্য, প্রায় প্রতি বছর পুজোর আনন্দকে নষ্ট করতে হাজির হয় অসুর বৃষ্টি। এবারেও তার অন্যথা হয় নি। দেবীর বোধনের আগেই হাজির তুমুল বৃষ্টি। পুজোর সময়ও আকাশ বিমুখ করতে পারে। হতে পারে বৃষ্টি। আর বৃষ্টি হলে পুজোয় ঘোরার আনন্দটাই মাটি। তবে উপায়ও আছে। আগেভাগে একটু সতর্ক হলেই এড়ানো যাবে এই সমস্যা। প্রয়োজনীয় কিছু জিনিস সঙ্গে থাকলেই নিশ্চিন্তে উপভোগ করা যাবে এই উৎসবের আনন্দ। আসুন তবে জেনে নেওয়া যাক অসুর বৃষ্টির বিপত্তি এড়াতে কি কি জিনিস সঙ্গে রাখা যেতে পারে।
ফোল্ডিং ছাতা বা পকেট রেনকোট
প্রথমেই তালিকায় রাখুন বহনযোগ্য ফোল্ডিং ছাতা বা পকেট রেনকোট। সহজে বহনযোগ্য এই দুটি উপাদান বৃষ্টি এলে খুব কাজে আসবে। হঠাৎ বৃষ্টি এলে আপনার সাজ ও পোশাক উভয়ই নিরাপদে থাকবে। তাই ভিড়ের মধ্যে বড় ছাতার চেয়ে এরকম ছোটো ছাতা বা রেনকোট ব্যবহার করা অনেক সুবিধা।
প্লাস্টিক ব্যাগ বা জিপলক পাউচ
পুজোতে প্রতিমা দর্শনের সময় মোবাইল ফোন, হেডফোন বা পাওয়ার ব্যাংক সঙ্গে থেকেই যায়। এগুলো বৃষ্টির জলে ভিজে গেলে বড় ক্ষতি হতে পারে। তাই সঙ্গে রাখুন ছোট ওয়াটারপ্রুফ প্লাস্টিক ব্যাগ বা জিপলক পাউচ। প্রয়োজনে কিছু বাড়তি পলিথিন রাখাও জরুরী। বৃষ্টিতে টাকাপয়সা, টিকিট বা দরকারী জিনিসপত্র রাখতে কাজে আসবে। এমনকি প্যান্ডেলে ঢোকার আগে ভেজা ছাতা বা রেনকোট রাখার জন্য প্লাস্টিক ছোট ব্যাগের প্রয়োজন হয়।
অতিরিক্ত রুমাল বা ন্যাপকিন
পুজোয় মন্ডপে মন্ডপে লম্বা লাইন দিয়ে দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। এমন সময় হঠাৎ বৃষ্টি নামলে ভিজে যেতে পারেন। তাই ছাতার সঙ্গে পারলে ছোট তোয়ালে অথবা অতিরিক্ত রুমাল বা ন্যাপকিন রাখা জরুরি। যাতে ভিজে গেলে দ্রুত মুছে নেওয়া যায়।
আর দু-একটা জরুরি জিনিস
বৃষ্টিতে রাস্তা ঘাট পিচ্ছিল থাকতে পারে। তাই আরামদায়ক চটি বা স্যান্ডেল সবচেয়ে ভালো। এই সময় ভারী স্টাইলিশ চটি এড়িয়ে যাওয়াই শ্রেয়। নইলে পূজোর আনন্দ মাটি হতে পারে। এছাড়া হঠাৎ প্রবল বর্ষণ হলে কিছু সময়ের জন্য আটকে যাওয়ার সম্ভবনা থেকে যায়। তাই সঙ্গে যদি বিস্কুট, পানীয় জল সঙ্গে রাখা যায় তবে সময়ে অসময়ে তা কাজে আসবে।
তাই দেবীর আগমনে যদি বৃষ্টির দাপট থাকে তবে কিছুটা সাবধানতা মেনে চলা গেলে উৎসবের আনন্দে কোনো অংশে ভাটা পড়বে না। আর পুজো মানেই প্রতিমা দর্শনের সঙ্গে সঙ্গে সকলের সাথে আনন্দ ভাগ করে নেওয়া। তাই ঘর থেকে বেরোনোর আগে প্রস্তুতি নিয়েই বেরোনো ভালো। তাতে বৃষ্টি বাঁধা নয়, উৎসবের অংশ হিসেবে পুজো হয়ে উঠবে স্মরণীয় ।