Sunday, December 21

বিনোদন

কোন গল্প বলবে সৃজিতের ‘এম্পেরর ভার্সেস শরৎচন্দ্র’? মুখ্য চরিত্রে থাকছেন কারা?

বাংলা সাহিত্য ও স্বাধীনতা সংগ্রামের সংযোগস্থলে দাঁড়িয়ে থাকা এক ঐতিহাসিক মুহূর্তকে এবার বড়পর্দায় উপস্থাপন করতে চলেছেন পরিচালক সৃজিত মুখার্জী।
কোন গল্প বলবে সৃজিতের 'এম্পেরর ভার্সেস শরৎচন্দ্র'? মুখ্য চরিত্রে থাকছেন কারা?
সৃজিতের 'এম্পেরর ভার্সেস শরৎচন্দ্র'। গ্রাফিক- সিবুলেটিন ডট কম।

সৃজিতের ‘এম্পেরর ভার্সেস শরৎচন্দ্র’

বাংলা সাহিত্য ও স্বাধীনতা সংগ্রামের সংযোগস্থলে দাঁড়িয়ে থাকা এক ঐতিহাসিক মুহূর্তকে এবার বড়পর্দায় উপস্থাপন করতে চলেছেন পরিচালক সৃজিত মুখার্জী। প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের কালজয়ী উপন্যাস ‘পথের দাবি’র শতবর্ষ পূর্তি উপলক্ষে নির্মিত হচ্ছে ‘এম্পেরর ভার্সেস শরৎচন্দ্র’ ছবিটি। গত আগস্ট মাসেই এই ছবির কথা ঘোষণা করেছিলেন পরিচালক নিজেই। পরাধীন ভারতবর্ষে শরৎচন্দ্রের এই উপন্যাস কিভাবে ব্রিটিশদের ভিত নাড়িয়ে দিয়েছিল, সেই গল্পই বলবে এই ছবি। ইতিমধ্যে প্রকাশ্যে এসেছে ছবির প্রথম ঝলক। কাস্টিংয়েও হয়েছে বড়সড় পরিবর্তন। রইল বিস্তারিত প্রতিবেদন।

‘এম্পেরর ভার্সেস শরৎচন্দ্র’- প্রেক্ষাপট

 

১৯২৬ সালের ৩১ আগষ্ট প্রকাশ পেয়েছিল ‘পথের দাবি’ উপন্যাস। প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই এই বই তুমুল সাড়া ফেলেছিল বাঙালি পাঠকমহলে। বইটির রাজনৈতিক বিস্ফোরণক্ষমতা এতটাই প্রবল ছিল যে কয়েক মাসের মধ্যেই তা ‘নিষিদ্ধ’ ঘোষনা করতে বাধ্য হয়েছিল ব্রিটিশ সরকার। কারণ, স্বদেশী আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে এই বইয়ের মধ্যে ব্রিটিশরা তখন বিদ্রোহ ও বিপ্লবের অশনি সংকেত আঁচ করতে পেরেছিল। সেই সময়ে ‘পথের দাবী’ উপন্যাসটি হয়ে উঠেছিল তরুণ প্রজন্মের কাছে দেশাত্মবোধের অনুপ্রেরণা। ফলে বইটির জনপ্রিয়তা বাড়ার সাথে শাসকশ্রেনীর অস্বস্তিও সমান তালে বাড়তে থাকে। অবশেষে ১৯২৭ সালের জানুয়ারি মাসে ‘নিষিদ্ধ’ করা হয় উপন্যাসটিকে। শোনা যাচ্ছে, সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ‘এম্পেরর ভার্সেস শরৎচন্দ্র’ সেই গল্পকেই বড়পর্দায় আনতে চলেছেন। ইংরেজ সরকারের বিরুদ্ধে তৎকালীন সমাজে লেখক এবং বইটির প্রভাবকে কেন্দ্র করেই ছবির কাহিনী বোনা হয়েছে।

‘এম্পেরর ভার্সেস শরৎচন্দ্র’- মুখ্য চরিত্রে কে কে

‘এম্পেরর ভার্সেস শরৎচন্দ্র’ ছবিটির প্রযোজনার দায়িত্বে আছে ‘নন্দী মুভিজ’। সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ছবিতে এই প্রথম কাজ করছে ‘নন্দী মুভিজ’। ছবিতে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করছেন আবির চট্টোপাধ্যায় এবং টোটা রায় চৌধুরীর মত অভিনেতারা। তবে সবচেয়ে বড় কথা, এই ছবিতে নায়িকার ভূমিকায় প্রথমে সোহিনী সরকারের নাম থাকলেও তাঁর পরিবর্তে এবার নেওয়া হচ্ছে মিমি চক্রবর্তীকে। মিমিও সৃজিতের ছবিতে এই প্রথম। অন্যদিকে রুদ্রনীল ঘোষের জায়গায় বুদ্ধদেব দাস এবং সত্যম ভট্টাচার্যের জায়গায় আসছে ঋক চট্টোপাধ্যায়। বুদ্ধদেব থিয়েটারের অভিনেতা। জানা গেছে, মোট চারটি গান থাকবে ছবিতে। ২০২৬ সালে পথের দাবীর ১০০ বছর পূর্তি। ওই বছরের মাঝামাঝি সময়ে মুক্তি পেতে পারে ছবিটি।

 

ছবি- ইনস্টাগ্রাম

আরও পড়ুন – ধুরন্ধর ছবির কাল্পনিক চরিত্র বনাম ‘বাস্তব’ চরিত্র, কার সঙ্গে মিল ঠিক কতটা? কি রায় দিলেন সিনেমাবোদ্ধারা?

আরও পড়ুন – ‘কান্তারা’র দৈব্যকে ‘অপমান’ করার অভিযোগ রণবীরের বিরুদ্ধে

ফলো করুণ-