একমাস আগে বাংলাদেশে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পৈতৃক ভিটেয় তাণ্ডব চালিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। এবার কিংবদন্তি চিত্রপরিচালক এবং সাহিত্যিক সত্যজিৎ রায়ের পূর্বপুরুষের ভিটে বাড়ি ভাঙার সিদ্ধান্ত নিল বাংলাদেশের ইউনূস সরকার। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমে এই খবর প্রকাশের পরপরই সমালোচনার ঝড় উঠেছে সমাজমাধ্যমে। ‘মানিকদা’র স্মৃতিবিজড়িত পৈতৃক বাড়ি ভাঙ্গার সিদ্ধান্তে সরব হয়েছেন একাধিক বিশিষ্ট ব্যক্তিরাও।
শতাব্দীপ্রাচীন এই বাড়িটি ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার জন্য বাংলাদেশ সরকারের কাছে আবেদন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভারত সরকারের পক্ষ থেকেও বাংলাদেশ সরকারের এ সিদ্ধান্ত পুনরায় খতিয়ে দেখার আহ্বান জানানো হয়েছে।
সত্যজিৎ রায়, সুকুমার রায় এবং উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর স্মৃতি বিজড়িত এই ভবনটি ভেঙে ফেলার পরিবর্তে সংস্কার এবং পুনর্নির্মাণ করে একটি মিউজিয়াম গড়ে তোলার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে৷ বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে বাড়িটির সংস্কারমূলক কাজে তারা বাংলাদেশকে প্রয়োজনীয় সবরকম সহযোগিতা করতেও প্রস্তুত।
আরও পড়ুন – Pompeii City: অগ্নুৎপাতের গ্রাসে গোটা শহর, প্রায় ২ হাজার মানুষের সমাধি হল ছাই আর পিউমিস পাথরের নিচে
বাংলাদেশের ময়মনসিংহ জেলার হরিকিশোর রায় রোডের এই বাড়িতে জড়িয়ে আছে সত্যজিৎ রায়ের পূর্বপুরুষদের স্মৃতি। বাড়িটি বর্তমানে বাংলাদেশ সরকারের মালিকানাধীন৷ আগে শিশু একাডেমির কার্যক্রম চালানো হতো সেখানে। তবে বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০০৭ সালের পর ভবনটি এতটাই জরাজীর্ণ হয়ে পড়ে যে, আর কোনো কাজকর্ম চালানো সম্ভব হয়নি। এখন ওই পরিত্যক্ত বাড়িটি ভেঙে সেখানে একটি বহুতল ভবন তৈরির পরিকল্পনা গ্রহণ করে কাজ শুরু করেছে শিশু একাডেমি।
ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ বাড়িটির রক্ষণাবেক্ষণ এবং সংস্কার করার পরিবর্তে ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ অনেকেই। বিশ্ববরেণ্য চিত্র পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের পূর্বপুরুষের ভিটে বাড়ি না ভেঙ্গে ঐতিহ্যবাহী বাংলা সংস্কৃতির একটি মিউজিয়ামে পরিণত করার প্রস্তাবে বাংলাদেশ সরকার এখন কিভাবে সাড়া দেয় সেটাই এখন দেখার।