Mock Drill: আগামীকাল বুধবার ৭ মে, দেশজুড়ে একযোগে ‘মক ড্রিল’ আয়োজনের নির্দেশ পাঠানো হয়েছে কেন্দ্র থেকে। দেশের ২৭ টি রাজ্য ও ৮ টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মোট ২৫৯ টি জায়গায় এই অসামরিক মহড়া হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। প্রসঙ্গত, এর আগে ১৯৭১ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময় দেখা গিয়েছিল এই ধরনের অসামরিক মহড়া।
গত ১১ দিন ধরে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে লাগাতার গুলিবর্ষণ চলছে। পহেলগাঁওয়ে নৃশংস জঙ্গি হামলার পর দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের টানাপড়েনের মধ্যে এমন ‘মক ড্রিল’ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
কী ধরনের মহড়া (‘মক ড্রিল’) হবে?
নির্দেশ অনুযায়ী, এয়ার রেড সাইরেন বাজিয়ে অ্যালার্ম সিস্টেম পরীক্ষা করা হবে। আচমকা বিমান হামলার সময় সাধারণকে সতর্ক করতে সাইরেন ব্যবস্থা সক্রিয় আছে কিনা তার জন্যই এই পরিক্ষা। সাধারণ মানুষকে এই শব্দের অর্থ বুঝিয়ে সতর্ক থাকতে বলা হবে। এর সঙ্গে, স্কুল, অফিস এবং কমিউনিটি সেন্টারে হবে ওয়ার্কশপ। সেখানে শেখানো হবে হামলার সময় কিভাবে পারস্পরিক সমন্বয় রেখে দ্রুত আশ্রয় নিতে হবে এবং কিভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা করতে হয়।
এর পাশাপাশি, একটি বিশেষ মুহূর্তে শহরের আলো নিভিয়ে দেওয়া হবে। সম্পূর্ণ ব্ল্যাকআউট পরিস্থিতি তৈরি করে বোঝানো হবে রাতের আকাশে শত্রুপক্ষের বিমান হামলা হলে কী ধরনের কৌশল নেওয়া উচিত।
এছাড়া, মিলিটারি বেস, পাওয়ার প্লান্ট, গুরুত্বপূর্ণ ভবন, রেলস্টেশন বা বিমানবন্দরের মত বিশেষ বিশেষ পরিকাঠামো ঢেকে ফেলা হবে কৃত্রিম আবরণে। এই বিশেষ জায়গাগুলি যাতে স্যাটেলাইটে শত্রুপক্ষের নজরে না পড়ে তার জন্য এই প্রস্তুতি।
নেহরু যুব কেন্দ্র সংগঠন (NYKS), এনসিসি এবং অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকেও যুক্ত করা হবে এই মহড়ায়।
পশ্চিমবঙ্গে কোথায় কোথায় ‘মক ড্রিল’ হবে?
পশ্চিমবঙ্গে মোট ৩১টি জায়গায় ৩ টি জোনে ‘মক ড্রিল’ হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। তার মধ্যে ক্যাটিগরি ১-এ কোনও জায়গা নেই। ২৪টি জায়গা রয়েছে ক্যাটিগরি ২-তে। ক্যাটিগরি ৩-এর আওতায় রয়েছে ৭টি জায়গা।
ক্যাটিগরি ২-এর অধীনে জায়গাগুলি হল- গ্রেটার কলকাতা, দুর্গাপুর, হলদিয়া, বালুরঘাট, মালদা, কোচবিহার, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়ি, হাসিমারা, দিনহাটা, কালিম্পং।
ক্যাটিগরি ৩-এর অধীনে রয়েছে বর্ধমান, বীরভূম, হাওড়া, হুগলি, মুর্শিদাবাদ এবং পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর।