কোজাগরী লক্ষ্মী পূজার নির্ঘণ্ট
আশ্বিন মাসের পূর্ণিমা তিথি হল কোজাগরী পূর্ণিমা তিথি। এই তিথিতে বাংলার ঘরে ঘরে পূজিতা হন শ্রী, সম্পদ আর সৌভাগ্যের দেবী মা লক্ষ্মী। সারা বছর প্রতি সপ্তাহের বৃহস্পতিবার লক্ষ্মী পূজা করা হলেও আশ্বিন পূর্ণিমার দিন এই পুজো করার মাহাত্ম্য একেবারেই আলাদা। বিশ্বাস করা হয় বিজয়া দশমীতে মা দুর্গা কৈলাস গমন করার তিনদিন পরেই দেবী লক্ষ্মী পুনরায় মর্ত্যে ফিরে আসেন। কোজাগরী পূর্ণিমার দিন তিনি ভক্তদের বাড়ি বাড়ি ঘুরে আশীর্বাদ দান করেন। কোজাগরী শব্দের অর্থ হল ‘কো-জাগতি’ অর্থাৎ ‘কে জেগে আছো?’। তাই কোজাগরী লক্ষ্মী পূজার দিন ঘরে প্রদীপ জ্বেলে সারারাত মায়ের আরাধনা করাই প্রচলিত রীতি। বলা হয়, এদিন ঘরে প্রদীপ জ্বেলে রাত জেগে যাঁরা দেবীর অপেক্ষায় থাকেন, মা লক্ষ্মী তাদের প্রতি তুষ্ট হন। দেবীর আশীর্বাদধন্য হয়ে ওঠে সেই পরিবার।
কোজাগরী পূর্ণিমা তিথি – ২০২৫
২০২৫ সালের (১৪৩২ বঙ্গাব্দ) পঞ্জিকা অনুযায়ী, আশ্বিন মাসের পূর্ণিমা তিথি শুরু হবে-
ইংরাজি- ৬ অক্টোবর
বাংলা- ১৯ আশ্বিন, সোমবার
সময়- সকাল ১১টা ২২ মিনিটে
এবং কোজাগরী পূর্ণিমা তিথি সমাপ্তি ঘটবে-
ইংরাজি- ৭ অক্টোবর
বাংলা- ২০ আশ্বিন, মঙ্গলবার
সময়- সকাল ৯টা ৩৩ মিনিটে।

কোজাগরী লক্ষ্মী পূজার সময়
কোজাগরী পূর্ণিমা তিথি শুরু হচ্ছে যেহেতু ৬ অক্টোবরেই, তাই ওই দিনের রাতই লক্ষ্মী পূজার জন্য আদর্শ সময় বলে ধরা হচ্ছে।
শাস্ত্র মতে, সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত্রি পর্যন্ত দেবীর আরাধনা করাই সবচেয়ে শুভ।
তাই এবারের কোজাগরী লক্ষ্মী পূজার শুভ সময় ধরা হয়েছে ৬ অক্টোবর সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিট থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত।
তবে যেহেতু আশ্বিন মাসের কোজাগরী পূর্ণিমা তিথি পরদিন সকাল পর্যন্ত চলবে, তাই প্রয়োজনে ৭ অক্টোবর ভোর বা সকালের দিকেও পুজো করা যেতে পারে।
তবে সাধারণভাবে যে দিনের সন্ধ্যায় পূর্ণিমা তিথি শুরু হয়, সেই রাতেই কোজাগরী লক্ষ্মী পূজার প্রধান সময় বলে মানা হয়।
মা লক্ষ্মী শস্য ও সম্পদেরও দেবী। তাই কৃষিনির্ভর বাংলায় এই সময়ে খারিফ শস্যের ফলন হওয়ায় ধন-ধান্য ও সমৃদ্ধির কামনায় আশ্বিন পূর্ণিমার এই কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো বিশেষ তাৎপর্য বহন করে।