Census of India: দীর্ঘ অপেক্ষার পর অবশেষে ফের শুরু হচ্ছে জনগণনা। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ২০২৭ সালের ১ মার্চ থেকে দেশের অধিকাংশ রাজ্যে পুরোদমে শুরু হবে আদমশুমারি। তবে বছরের ওই সময় হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, লাদাখ এবং জম্মু ও কাশ্মীরের মত রাজ্যে তুষারপাত হওয়ার জন্য জনগণনার কাজ শুরু হবে ২০২৬ সালের অক্টোবর মাসে। অর্থাৎ ১৬ মাসের মধ্যে আবার মাঠে নামছেন লক্ষ লক্ষ শুমারি কর্মী। সঙ্গে ফিরছে নানা প্রশ্ন, হিসেব আর সরকারি খতিয়ান তৈরির কাজ।
Census of India: ২০১১-র পর ২০২৭
ভারতে প্রতি ১০ বছর অন্তর জনগণনা হয়। কিন্তু ২০১১ সালের পর থেকে তা আর হয়ে ওঠেনি। ২০২১ সালে কোভিড অতিমারির কারণে তা স্থগিত হয়ে গেছিল। এরপর ২০২৩ এবং ২০২৪ সালে জনগণনা হওয়ার কথা উঠলেও নির্বাচনের কারণে সেই পথে হাঁটেনি কেন্দ্র। সেই থেকে থমকে আছে কাজ। শেষমেশ ২০২৪ সালের শেষে নতুন জনগণনা হবে বলে ঘোষণা করা হয়। এবার তারই রূপরেখা প্রকাশ পেল।
Census of India: কোন কোন বিষয় গুরুত্ব পাচ্ছে
নতুন আদমশুমারিতে মোট তিনটি বিষয়ের উপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে। প্রথমত, বাড়িতে বসবাসকারী ব্যক্তি সংখ্যা, আবাসের সংখ্যা এবং এক আবাসে কতজন বসবাস করেন সেটা। এর সঙ্গে এবার জাতিগত পরিসংখ্যানকেও এই জনগণনায় অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। অর্থাৎ শুধু কে কোথায় থাকেন এবং কতজন থাকেন তাই নয়, কোন জাতিভুক্ত তাও এবার পড়বে গণনার আওতায়। এছাড়া, এক একটি আবাসে কতজন মানুষ বসবাস করছেন বিশেষভাবে নথিভুক্ত করা হবে।পাশাপাশি, এই জনগণনার সময় জাত এবং জনগোষ্ঠী সম্পর্কিত একাধিক তথ্য প্রশ্নোত্তরের ভিত্তিতে সংগ্রহ করা হবে বলে জানা গেছে। এর ফলে সময় যেমন লাগবে বেশি, খরচও বাড়বে অনেকটাই।
Census of India: কেন এত গুরুত্বপূর্ণ এই জনগণনা?
বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্তমান সরকারের যাবতীয় নীতি, বাজেট ও আর্থিক কর্মসূচির প্রায় সিংহভাগ ভর করে আছে ২০১১ সালের আদমশুমারির তথ্যের উপর। তাছাড়া, বিভিন্ন ধরনের সরকারি সুবিধা বণ্টনে পুরোনো তথ্য ব্যবহার করতে গিয়ে অসুবিধা তৈরি হচ্ছে। কোথায় কত বাজেট বরাদ্দ হবে, কারা কোন প্রকল্পে উপকৃত হবেন, এসব কিছুই পুরনো তথ্যের ভিত্তি করে করতে হচ্ছে। নতুন আদমশুমারি হলে এই সমস্যার সমাধান হবে। সেই সঙ্গে দেশের বর্তমান জনসংখ্যারও প্রকৃত চিত্র উঠে আসবে।
Census of India: ইতিহাস কি বলছে?
ভারতে প্রথম আদমশুমারি হয়েছিল ১৮৭২ সালে। তারপর থেকে প্রতি দশ বছর ছাড়া এই গণনা নিয়মমাফিক হয়ে আসছে। কিন্তু এবার সেই ব্যবধান গিয়ে দাঁড়াল ১৬ বছরে। যা আদমশুমারির ইতিহাসে বিরল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।