AC Tips: গরমে তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে এসির ব্যবহার। গ্রীষ্মের চাঁদিফাটা রোদ আর ভ্যাপসা গরম থেকে একটু রেহাই পেতে এসিই ভরসা। মে থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত এসির সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়। তবে তার পরেও, প্রায় সেপ্টেম্বর অবধি কমবেশি অনেকেরই এসির ওপর নির্ভর করতে হয়। তবে এসির উপর অতিরিক্ত নির্ভরতা বিপদ ডেকে আনতে পারে। বাড়িতে এসি থাকলে অবশ্যই তার রক্ষণাবেক্ষণ সংক্রান্ত কিছু নিয়ম মেনে চলা উচিৎ। বিশেষ করে, তীব্র গরমের সময় ঘণ্টার পর ঘণ্টা এসি চালানোর সঙ্গে যদি ঠিক সময় সার্ভিসিং না করানো হয় তাহলে মেশিনটারই বারো বাজবে। প্রয়োজনীয় রক্ষণাবেক্ষণ উপেক্ষা করে চললে যন্ত্রের আয়ুও কমবে। তার সঙ্গে তাল দিয়ে বাড়বে বিদ্যুৎ খরচও। নিচে এক নজরে এসি সংক্রান্ত টিপস গুলি দেখে নেওয়া যাক-
AC Tips: নিয়মিত এসির সার্ভিসিং করা কেন প্রয়োজন?
এয়ার কন্ডিশনারের কার্যক্ষমতা অনেকাংশে রক্ষনাবেক্ষনের ওপর নির্ভর করে। প্রথমে গরমের শুরুতে একবার পেশাদার সার্ভিসিং করিয়ে নিয়ে তারপর এসির ব্যবহার শুরু করা উচিৎ। এরপর থেকে, প্রতি ৩ থেকে ৪ মাস ছাড়া ছাড়া নিয়মিতভাবে এসি পরিষ্কার করানো প্রয়োজন। নিয়মিত সার্ভিসিং না করলে এসির শীতলীকরণের ক্ষমতা ধীরে ধীরে হ্রাস পেতে পারে এবং কাঙ্ক্ষিত তাপমাত্রা পাওয়ার আশায় বিদ্যুৎ বিলের ইউনিট বাড়তে পারে।
AC Tips: কত ঘণ্টা পর এসির সার্ভিসিং করানো প্রয়োজন?
মোটামুটি ৬০০ থেকে ৭০০ ঘণ্টা চলার পর এসির সার্ভিসিং না করলে ভুগতে হতে পারে। নিয়মিত ফিল্টার এবং কনডেন্সর কয়েল পরিষ্কার না করলে এয়ার কন্ডিশনারের কুলিং ক্ষমতা হ্রাস পেতে পারে। এছাড়া, রাস্তার পাশে বাড়ি হলে এসিতে ধুলো জমার সম্ভাবনা থাকে প্রবল। ফলে সেক্ষেত্রে এসির কম্প্রেসরে চাপ পড়ে, ফলে যন্ত্রের আয়ু কমে।
AC Tips: এসি একটানা কতক্ষণ চালানো উচিত?

বিশেষজ্ঞদের মতে, একটানা ১০ থেকে ১২ ঘণ্টার বেশি এসি না চালানোই ভাল। তীব্র গরমের সময় অনেকে সারাদিন এসি চালিয়ে বসে থাকেন। এভাবে দীর্ঘক্ষণ চালু থাকলে এসির উপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে। তাই অন্তত আধ-এক ঘণ্টা বিরতি দিয়ে পুনরায় অন করা যায়। রাতে ঘুমানোর সময় ‘স্লিপ মোড’ ব্যবহার করলে এসির উপর চাপ কম পড়বে।
AC Tips: গ্যাস লিকেজ কখন চেক করবেন?
এসির গ্যাস লিকেজ হচ্ছে কিনা বছরে অন্তত একবার চেক করানো উচিত। তবে যদি লক্ষ্য করেন, এসি আগের মতো ঠান্ডা করছে না বা এসি থেকে হিস হিস শব্দ বেরোচ্ছে, তাহলে দ্রুত পেশাদার টেকনিশিয়ান ডেকে গ্যাস চেক করানো প্রয়োজন। গ্যাস লিক হলে কুলিং প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়, এমনকি যন্ত্র সম্পূর্ণ অচলও হয়ে যেতে পারে।
AC Tips: আউটডোর ইউনিটের যত্ন নিতে ভুলবেন না
অনেকেই এসির আউটডোর ইউনিটকে অবহেলা করেন। অথচ, এসির এই অংশটি তাপ বের করে দেয়। বাইরের ইউনিটে ধুলো জমলে হিট এক্সচেঞ্জ সঠিকভাবে হয় না। তাই প্রতি মাসে একবার বাইরে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলা, ইউনিটের চারপাশ পরিষ্কার রাখা এবং ছায়াযুক্ত স্থানে রাখা গুরুত্বপূর্ণ। সরাসরি রৌদ্রে থাকলে ইউনিটের ওপরে একটা শেড করে দেওয়া যেতে পারে। এছাড়া, পাখার ব্লেড ও ফিনও সময়মতো চেক করিয়ে নেওয়া উচিত।
AC Tips: ভুল তাপমাত্রা সেটিং থেকেও সমস্যা বাড়তে পারে
ঘর প্রয়োজনের থেকে বেশি ঠান্ডা করতে গিয়ে অনেকে এসি ১৬ বা ১৮ ডিগ্রিতে তাপমাত্রা সেট করেন। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ইলেকট্রিক মিটারও সেই সঙ্গে দৌড়তে শুরু করে। এওত কম তাপমাত্রায় যন্ত্রে অতিরিক্ত চাপ পড়ে এবং ঘরের আর্দ্রতা বাড়ে। তাপমাত্রা ২৪ থেকে ২৬ ডিগ্রিতে রাখলে ঘর যেমন সুন্দর ঠাণ্ডা হয়, তেমনি মাস গেলে বিদ্যুৎ খরচও বাঁচে। অন্যদিকে, এসির আয়ুও দীর্ঘস্থায়ী হয়।
