তামান্না ভাটিয়া
শেষমেষ তামান্না ভাটিয়া তাঁর শারীরিক পরিবর্তন নিয়ে খোলাখুলি মুখ খুললেন। বেশ কয়েকদিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় এই নিয়ে জোর জল্পনা চলছিল। তাতে কেউ কেউ বলেছেন, তিনি নাকি ওজন কমাতে ‘ওজেম্পিক’-এর মত ইনজেকশন ব্যবহার করেছেন। অবশেষে হার্পার্স বাজার ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সমস্ত জল্পনার জট খুললেন অভিনেত্রী নিজেই।
সাক্ষাৎকারে তামান্না স্পষ্ট জানিয়েছেন যে, ১৫ বছর বয়স থেকেই তিনি ক্যামেরার সামনে। ক্যামেরার সামনেই মানুষ তাঁর বেড়ে ওঠা দেখেছেন। ফলে লোকানোর কিছু নেই। তিরিশের কোঠায় এসে একটু স্লিম হলেও তাঁর শরীর সবসময়ই এরকমই ছিল। এখন তাঁর যা শারীরিক গঠন তা একেবারেই নতুন নয়। এভাবেই তিনি বড় হয়েছেন, এবং বরাবরই এরকমই থেকে গেছেন।
তামান্না বলেন, যারা মূলত হিন্দি ছবির মাধ্যমে তাঁকে চিনেছেন, তাঁদের কাছে এই পরিবর্তনটা হয়তো একটু আকস্মিক বলে মনে হতে পারে। ‘কিন্তু আমি প্রায় ১০০টি ছবিতে কাজ করেছি, বিভিন্ন সময়ে, বিভিন্ন শারীরিক কাঠামোয় মানুষ আমাকে দেখেছেন,’ হাসতে বলেন অভিনেত্রী।
‘বাহুবলী’-র সুবাদে গোটা দেশে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন তামান্না ভাটিয়া। তিনি মনে করেন, একজন নারীর শরীর সময়ের সঙ্গে বদলানোটাই স্বাভাবিক ব্যাপার। এটা প্রাকৃতিক নিয়ম।
তবে তিনি জানান, কোভিড ১৯-এর সময় শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ করা তাঁর কাছে রীতিমত চ্যালেঞ্জের হয়ে দাঁড়িয়েছিল। কোভিডের পর তাঁর শরীরে ইনফ্লেমেশন বেড়ে যায়, আগের মতো ওজন রাখাও মুশকিল হচ্ছিল। ‘আমি খেতে ভালোবাসি। ভাত, রুটি, ডাল ছাড়া তো চলেই না,” অকপট স্বীকারোক্তি তামান্নার।
তামান্নার মতে নিজের শরীরকে গ্রহণ করাটাই সবচেয়ে বড় সৌন্দর্য। তাঁর ভাষায়, ‘ইনফ্লেমেশন সত্যি জিনিস। নারীর শরীর প্রতিনিয়ত তার সাইকেলের সঙ্গে পরিবর্তিত হয়। আমার শরীরের খাঁজ কোনোদিন চেঞ্জ হবে না, কারণ আমি সিন্ধি। এটাই আমার হাড়ের গঠন।’
তথ্যসূত্র- এনডিটিভি



