Train Ticket Booking: তৎকাল টিকিট বুকিংয়ে জালিয়াতি রুখতে এবার কড়া ব্যবস্থা নিচ্ছে রেল। হঠাৎ ট্রেন যাত্রার প্রয়োজন হলে বা শেষ মুহূর্তে টিকিট পেতে তৎকালই ভরসা। কিন্তু এই তৎকাল টিকিট বুকিং নিয়েই সাধারণ মানুষের ভুরি ভুরি অভিযোগ। আপৎকালীন ট্রেন ভ্রমণের জন্য তৎকাল ব্যবস্থা থাকলেও তা সাধারণের নাগালের বাইরে। হাজার চেষ্টা করেও টিকিট পাওয়া যায় না। কালোবাজারিদের চক্রে বুকিং শুরু হওয়ার এক মিনিটের মধ্যেই ওয়েটিং লিস্টে চলে যায় সাধারণ যাত্রীর টিকিট।
মঙ্গলবার এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানান, তৎকাল টিকিট বুকিংয়ের জন্য খুব শীঘ্রই আধার ই-অথেনটিকেশন বাধ্যতামূলক করা হবে। আধারের মাধ্যমে পরিচয় যাচাই করে টিকিট কাটার ব্যবস্থা থাকলে ভুয়ো প্রোফাইল ব্যবহার করে টিকিট বুকিংয়ের রাস্তা বন্ধ করা যাবে। তাঁর দাবি, এর ফলে তৎকাল বুকিংয়ের স্বচ্ছতা যেমন বাড়বে, তেমনি এজেন্ট জালিয়াতিও ঠেকানো যাবে। শুধুমাত্র বৈধ যাত্রীরাই এবার থেকে তৎকালের টিকিট কাটতে পারবেন।
তৎকাল টিকিট বুকিংয়ে সবসময় যে কনফার্ম টিকিট পাওয়া যাবে তার কোন অর্থ নেই। বিশেষ এই কোটায় সংরক্ষিত আসন সংখ্যাও কম থাকে। উপরন্তু, এই টিকিটের দাম সাধারণ টিকিটের তুলনায় বেশি এবং টিকিট বাতিল করলে রিফান্ড পাওয়ার নিয়মকানুনও আলাদা।
তবে অনেকদিন থেকে তৎকাল টিকিট কাটা নিয়ে নিত্যযাত্রীদের মধ্যে ক্ষোভ ছিল যথেষ্ট। প্রয়োজনের সময় অনেক চেষ্টা করেও টিকিট মিলছিল না। ট্রেন যাত্রার একদিন আগে সকাল ১০টায় শুরু হয় এসি কোচের তৎকাল বুকিং। নন-এসির ক্ষেত্রে সময় সকাল ১১টা। তাতে সঠিক সময়ে লগ-ইন করা স্বত্বেও বহু যাত্রী টিকিট পান না। সার্ভার ডাউন হয়ে যায়। পরে দেখা যায়, সমস্ত টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে।
অভিযোগ, বহু অসাধু এজেন্ট ইন্ডেন্ট টুল বা স্বয়ংক্রিয় সফটওয়্যারের মাধ্যমে আগেভাগেই তৎকাল কোটার টিকিট বুক করে নিচ্ছিলেন। পরে সেই টিকিটগুলো চড়া দামে বিক্রি হচ্ছিল কালোবাজারে। এই ‘কালোবাজারি’ ঠেকাতেই এবার আধার ই-অথেনটিকেশন ব্যবস্থা আনছে রেল।