ভারতে পোস্ত চাষের ইতিহাস দীর্ঘদিনের। ইতিহাস থেকে জানা যায়, দশম শতাব্দী থেকে উত্তর ভারতে পোস্ত চাষ হত।
মুঘল যুগেও ভারতের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে পোস্ত চাষ হত। বর্তমানে পোস্তের সঙ্গে আফিমের সম্পর্ক থাকলেও অতীতে পোস্ত থেকে তৈরি আফিম বিভিন্ন রোগের ওষুধ তৈরি করতে কাজে লাগতো।
পোস্ত চাষের উপর সরকারি নিয়ন্ত্রণ শুরু হয় মোঘল আমল থেকেই। এরপর তা পুরোপুরি কায়েম করে ব্রিটিশরা। ভারত স্বাধীন হওয়ার পর পোস্ত বা আফিম চাষের ওপর নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রীয় সরকারের দায়িত্বে আসে।
পোস্ত উৎপাদনে বর্তমানে সরকারি নিয়ন্ত্রণের পিছনে কারণ আছে। আফিমের নেশা থেকে বিশ্বকে মুক্ত করার জন্য রাষ্ট্রপুঞ্জ ১৯৬১ সালে পোস্ত চাষ পুরোপুরিভাবে নিষিদ্ধ করে।
রাষ্ট্রপুঞ্জের শর্ত মেনে ১৯৮৫ সাল থেকে এদেশে পোস্ত চাষ নিষিদ্ধ হয়ে যায়। তবে ১৮৫৭ সাল থেকে বিভিন্ন আফিম আইনের মাধ্যমে ভারতে পোস্ত চাষ নিয়ন্ত্রিত হয়ে আসছিল।
বর্তমানে ভারতে সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ নারকোটিকস-এর পক্ষ থেকে যাঁদের লাইসেন্স দেওয়া হয় , কেবলমাত্র তাঁরাই পোস্ত চাষ করতে পারেন।
বর্তমানে ভারতে শুধুমাত্র উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান এবং মধ্যপ্রদেশ- এই তিনটি রাজ্যেই পোস্ত চাষের অনুমতি রয়েছে। এর মধ্যে মধ্যপ্রদেশের মন্দোসৌর এবং রাজস্থানের চিতরগড় ও ঝালাওয়ার জেলায় সবথেকে বেশি পোস্ত চাষ হয়।