আরব মরুভূমি থেকে বাঙ্গালীর হেঁসেলে- পনিরের অজানা যাত্রায় অবাক হবেন আপনিও

পনিরের প্রত্যেকটি ব্যঞ্জনে আছে আভিজাত্যের ছাপ। নিরামিষ ভোজন হোক বা অতিথি আপ্যায়ন, পনির পদের জুড়ি মেলা ভার।

শাহী পনির, চেট্টিনাদ পনির, ছানার ডালনা, কান্ধারি পনির- কত শত বাহারি নামের মাঝে লুকিয়ে আছে প্রাণহরা পনিরের স্বাদ।

পুষ্টিগুণে ভরা দুগ্ধজাত এই পনির আপামর নিরামিষভোজী জনগোষ্ঠীর পুষ্টি জোগানের অন্যতম প্রধান উৎস। 

তবে পনির কিভাবে আবিস্কার হয়েছিল সে নিয়ে রয়েছে হাজার বছরের পুরানো নানান ইতিহাস।

ইতিহাস থেকে জানা যায়, দুধ জমিয়ে খাদ্য সংরক্ষণের কৌশল হিসাবেই প্রথম পনির আবিষ্কৃত হয়েছিল।

প্রাচীন একটি কিংবদন্তি অনুসারে, পনির তৈরির একটি আশ্চর্য কাহিনীও প্রচলিত আছে। আসুন জেনে নিই কি সেই কাহিনী।

আরব দেশের এক বণিক মরুভুমির মধ্যে দিয়ে যাওয়ার সময় তাঁর থলিতে দুধ  রেখেছিলেন। থলিটা ছিল ভেড়ার পেটের চামড়া দিয়ে তৈরি করা একটি বিশেষ থলি। 

ভেড়া হল রুমিন্যান্ট প্রাণী। তাই এই থলির চামড়ায় ছিল রেনেট নামক একটি প্রাকৃতিক এনজাইম, যা দুধকে সহজেই জমাট বাঁধতে সাহায্য করে।

মরুভূমির বুকে সূর্যের প্রখর তাপ আর গরমে সেই দুধ আর রেনেট বিক্রিয়া শুরু করে। আর তা থেকেই তৈরি হয় পনির। এত সব যে ঘটছে ঘুণাক্ষরেও টের পাননি সেই আরব বনিক। তবে এ সবই ধারণা মাত্র। পনির তৈরির প্রথম ইতিহাস আজও অধরা।